ইউরোপের যে সকল দেশে প্রবাসীদের বেতন বেশি
ইউরোপের যে সকল দেশে প্রবাসীদের বেতন বেশি আমরা আমাদের আর্টিকেলে বিশ্বের সবচেয়ে
বেশি প্রবাসীদের বেতন প্রধানকারি দেশগুলো সম্পর্কে জানবো এবং এসব দেশে কোন কাজের
কেমন বেতন সে সকল বিষয় সম্পর্কেও জানবো। আর ইউরোপের কোন দেশের ভিসা পাওয়া সহজ
এসব বিষয় নিয়েও আমরা আমাদের আর্টিকেলে আলোচনা করেছি।
আমরা আমাদের আর্টিকেলে ইউরোপের আটটি দেশের কথা বলেছি, যে ৮টি দেশে প্রবাসীদের
বেতন অন্যান্য দেশের চেয়ে বেশি এবং এই আটটি দেশে প্রবাসীদের গড় বার্ষিক
বেতন প্রায় বাংলাদেশী ঢাকায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার মতো।
পেজ সূচিপত্রঃ ইউরোপের যে সকল দেশে প্রবাসীদের বেতন বেশি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
- ইউরোপের যে সকল দেশে প্রবাসীদের বেতন বেশি
- প্রবাসীদের ইউরোপীয় ভিসা প্রসেসের নিয়ম কানুন
- সুইজারল্যান্ডে প্রবাসীদের বেতন সম্পর্কে জানুন
- জার্মানিতে প্রবাসীদের বেতন সম্পর্কে জানুন
- অস্ট্রিয়াতে প্রবাসীদের বেতন সম্পর্কে জানুন
- ফিনল্যান্ডে প্রবাসীদের বেতন সম্পর্কে জানুন
- হংকংয়ে প্রবাসীদের বেতন সম্পর্কে জানুন
- ইতালির প্রবাসীদের বেতন সম্পর্কে জানুন
- ডেনমার্ক প্রবাসীদের বেতন সম্পর্কে জানুন
- শেষ কথাঃ ইউরোপের যে সকল দেশের প্রবাসীদের বেতন বেশি
ইউরোপের যে সকল দেশে প্রবাসীদের বেতন বেশি
ইউরোপের যে সকল দেশে প্রবাসীদের বেতন বেশি তার মধ্যে কিছু অন্যতম দেশ হলো
সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, অস্ট্রিয়া, ফিনল্যান্ড, হংকং, ইতালি, ডেনমার্ক ও
নরওয়ে ইত্যাদি সহ আরো বেশি কিছু দেশ। ইউরোপের প্রায় প্রতিটি দেশেই প্রবাসীদের
বেতন মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার দেশগুলোর চেয়ে অনেক বেশি। আমরা আমাদের এই আর্টিকেলে
উপরোক্ত আটটি দেশের একজন প্রবাসীর গড় বার্ষিক আয় এবং একজন প্রবাসীর মাসিক আয়
সম্পর্কে জানব। এছাড়াও ইউরোপের এই আটটি দেশে যাওয়ার জন্য খুব সহজেই কিভাবে ভিসা
পাওয়া যাবে এসব বিষয় সম্পর্কেও জানবো।
ইউরোপ এমন একটি দেশ যা প্রতিটি প্রবাসীদের স্বপ্নের শেষ ঠিকানা। ইউরোপের
দেশগুলোতে কম পরিশ্রম করে বেশি পরিমাণে অর্থ আয় করা যায় এবং বিভিন্ন ধরনের
সুযোগ সুবিধা ভোগ করা যায়। আর একটু শিক্ষিত বা দক্ষ হলে ভাগ্যর চাকা ঘুরিয়ে
ইউরোপের যে কোন দেশে নাগরিক হয়ে সেই দেশেই সারা জীবনের জন্য থেকে যাওয়া যায়
এবং নাগরিক হওয়ার সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করা যায় যা আমাদের দেশের চেয়ে অনেক অংশ
বেশি।
প্রবাসীদের ইউরোপীয় ভিসা প্রসেসের নিয়ম কানুন
ইউরোপের প্রতিটি দেশের রয়েছে ভিসার জন্য আলাদা কিছু নিয়মকানুন। ইউরোপের ভিসা
পাওয়ার জন্য প্রথমেই আমাদেরকে নির্বাচন করতে হবে যে আমরা কোন দেশে যেতে চাই।
আপনারা হয়তো জানেন মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার দেশের ভিসার চেয়ে ইউরোপের ভিসা পাওয়া
একটু কষ্টসাধ্য বিষয়। কিন্তু আমরা যদি সঠিক নিয়ম মেনে ভিসার জন্য আবেদন করি
তাহলে খুব সহজেই আমরা ইউরোপের কাজের ভিসা পেতে পারি। ইউরোপের ভিসা সহজে পাওয়ার
জন্য প্রথমে আমাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে ইউরোপের কোন দেশে প্রবাসীদের চাহিদা
বেশি। এরপর যে দেশে প্রবাসীদের চাহিদা বেশি সে সকল দেশের
কোম্পানিগুলোর কাছে কাজ করার জন্য আমরা একটি পত্র পাঠাবো। এরপর যদি সে
সকল কোম্পানিগুলো আমাদের পাঠানো পত্র গুলো পড়ে আমাদেরকে নির্বাচন করে তাহলে খুব
সহজেই আমরা ওই দেশের ভিসা পেয়ে যাব।
এছাড়াও আরেকটি পদ্ধতি অবলম্বন করে খুব সহজেই আমাদের পছন্দের ইউরোপের দেশের
ভিসা পেয়ে যেতে পারি। এজন্য প্রথমে আমরা আমাদের যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতা আছে এরকম
কোন কাজ খুঁজে বের করতে হবে। তারপর ইন্টারনেটে বা যে কোন মাধ্যম দিয়ে জানতে হবে
আমার যে বিষয়ে অভিজ্ঞতা আছে সে সকল বিষয়ে কোন দেশে চাহিদা বেশি। তারপর
কাঙ্খিত দেশ খুঁজে পাওয়ার পর সকল লিগ্যাল ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র সেই
কাঙ্ক্ষিত দেশের ভিসা প্রসেসিং এর অফিসে গিয়ে কাগজ জমা দিয়ে আসতে হবে।
আশা করা যায় আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা গুলোকে এবং আমাদের সকল লিগ্যাল ডকুমেন্ট
বা কাগজপত্র সঠিক নিয়ম মেনে যদি ইউরোপে দেশের যাওয়ার জন্য আবেদন
করতে পারি, তাহলে খুব সহজেই আমরা আমাদের স্বপ্নের ইউরোপের দেশে যেতে পারবো
এবং সেখানে গিয়ে ভালো কিছু করতে পারবো।
সুইজারল্যান্ডে প্রবাসীদের বেতন সম্পর্কে জানুন
ইউরোপের সবচেয়ে বেশি বেতন প্রবাসীদের প্রদান করে একমাত্র সুইজারল্যান্ড।
সুইজারল্যান্ড অপরূপ সৌন্দর্যের মুগ্ধ করার মতো একটি দেশ। আর এই দেশে প্রবাসীদের
চাহিদা প্রতিবছর তুলনামূলকভাবে বেড়েই যাচ্ছে, যা প্রবাসীদের জন্য একটি সুসংবাদ।
এই দেশে একজন প্রবাসীর গড় বার্ষিক আয় ধারণা করা হয় ১১০০০০
থেকে১২০০০০ সুইচ ফ্রাংক যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার মত।
অর্থাৎ একজন প্রবাসীর সুইজারল্যান্ডে প্রতি মাসের বেতন বাংলাদেশী টাকায় প্রায়
১১ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মতো। কিন্তু এসব বেতন কাজের উপর ভিত্তি করে কমবেশি
করে দেওয়া হয়। যাদের অভিজ্ঞতা বেশি এবং কাজে দক্ষতা বেশি তাদের বেতন বেশি এবং
যাদের অভিজ্ঞতা কম ও দক্ষতা ও কম তাদের বেতনও কম।
কিন্তু সুইজারল্যান্ডে প্রায় প্রতিটি কাজের জন্য রয়েছে আলাদা রকম মূল্য তালিকা।
আর সুইজারল্যান্ডে প্রতিটি প্রবাসীদের নতুন অবস্থায় একটু কম বেতন হলেও তা
অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক গুণ বেশি। সুতরাং সুইজারল্যান্ডে গিয়ে যদি ধৈর্য ধরে
কাজ শিখে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হয়ে যদি আমরা কাজ করতে পারি তাহলে আশা করা যায়
প্রতিটি প্রবাসীদের জন্য অপেক্ষা করবে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ যা প্রতিটি মানুষের
কাম্য একটি বিষয়। তাই আমাদের ধৈর্য ধারণ করে কাজ শিখতে হবে, তবেই একসময়
একটি মোটা অংকের টাকা ইনকাম করা সম্ভব হবে।
জার্মানিতে প্রবাসীদের বেতন সম্পর্কে জানুন
ইউরোপের অন্যান্য দেশের মধ্যে জার্মানি হল একটি অন্যতম বৃহৎ আর্থিক উন্নয়নশীল
দেশ। এই দেশে আইটি সেক্টর, নার্স ও ডক্টর চিকিৎসা সেক্টর, ব্যাংকিং সেক্টর
এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে কাজ করলে বেশ মোটা অংকের টাকা ইনকাম করা যায়। এছাড়াও
জার্মানিতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলো থাকার ফলে এই দেশে প্রবাসীদের
চাহিদা অনেক বেশি এবং এই দেশে প্রবাসীদের কাজের তেমন কোন অভাব হয় না যার
ফলে এই দেশে এসে সকল ধরনের কাজ করা যায় এবং একটি ভালো পরিমাণের টাকা ইনকাম করা
যায়। আর আমরা যারা শিক্ষিত আছি তারা যদি জার্মানিতে আসতে পারি আশা করা যায়
এখানে কাজের অভাব হবে না এবং একটি হ্যান্ডসাম স্যালারি যেকোনো কোম্পানির সাথে
যুক্ত থাকে ইনকাম করা যাবে।
জার্মানিতে একজন প্রবাসীর গড় বার্ষিক আয় ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ইউরো এবং
বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৫২ লক্ষ থেকে ৫৫ লক্ষ টাকার মতো। অর্থাৎ একজন প্রবাসীর
জার্মানিতে প্রতি মাসে বেতন হতে পারে বাংলাদেশি টাকায় ৪ লাখ থেকে ৪ চার লাখ ৫০
হাজার টাকার মতো। সুতরাং আমরা যদি সঠিক ভাবে জার্মানিতে এসে যে কোন কোম্পানির
সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ শুরু করি তাহলে প্রতি মাসে আমরা প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা
ইনকাম করতে পারব এবং নিজেদের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারব।
অস্ট্রিয়াতে প্রবাসীদের বেতন সম্পর্কে জানুন
ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো অস্ট্রিয়া দেশ তার আর্থিক উন্নয়নের জন্য বিশ্বের
দরবারে আলাদাভাবে প্রশংসিত একটি দেশ। অস্ট্রিয়া বিভিন্ন খাতে প্রতিনিয়ত জনবল
নিয়োগ করে থাকে এবং তা প্রতিনিয়ত বেড়েই যাচ্ছে। অস্ট্রিয়াতে সবচেয়ে আইটি ও
বিভিন্ন কোম্পানির গুলোতে প্রবাসীদের চাহিদা বেশি। অস্ট্রেলিয়াতেও একজন
প্রবাসীর গড় বার্ষিক আয় বা বেতন প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার ইউরো মতো। আর এই
বেতনকে বাংলাদেশি টাকায় মাসিক বেতন হিসাবে ভাগ করলে প্রায় বাংলাদেশি
টাকায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মতো। আমরা যদি সঠিক অভিজ্ঞতা নিয়ে অস্ট্রিয়াতে
আসতে পারি তাহলে প্রতি মাসে আমরা লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারব।
সুতরাং আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত সঠিক নিয়ম মেনে সৎপথে অস্ট্রিয়াতে বা ইউরোপে যে
কোন দেশে প্রবেশ করা এবং অসৎ পথ বা ভুল পথ অবলম্বন করা থেকে বিরত থাকা। তবেই আমরা
ইউরোপে এসে ভালো কিছু করতে পারবো এবং অস্ট্রিয়া সহ আরো অন্যান্য ইউরোপের দেশে
গিয়ে নিজেদের জন্য একটি আলাদা স্থান করে নিতে পারব।
ফিনল্যান্ডে প্রবাসীদের বেতন সম্পর্কে জানুন
ফিনল্যান্ড একটি শীত প্রধান দেশ এবং এদেশে বেশিরভাগ সময় শীতের তীব্রতা দেখা
যায়। কিন্তু ফিনল্যান্ডে রয়েছে প্রবাসীদের জন্য বিশাল কাজের সুযোগ।
ফিনল্যান্ডে প্রযুক্তি, চিকিৎসা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে কাজের চাহিদা ও বেতন
ও বেশি। ফিনল্যান্ডে একজন প্রবাসীর গড় বার্ষিক আয় এবং ফিনল্যান্ডের স্থানীয়
বসবাসরত নাগরিকদেরও বার্ষিক আয় প্রায় সমপর্যায়ের। ফিনল্যান্ডে একজন
প্রবাসীর বার্ষিক আয় ৩০০০ থেকে ৪০০০ ইউরো তবে এটি দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি
করে কম বেশি হয়ে থাকে। ফিনল্যান্ডে বসবাসের ও চলাফেরার খরচ একটু বেশি তবে
এটি ফিনল্যান্ডের রাজধানী এবং ফিনল্যান্ডের বড় বড় শহরগুলোর
ক্ষেত্রে।
ফিনল্যান্ড খরচ বেশি এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তার কিছু কারণ নেই। কারণ যে শহরে
বসবাসের খরচ বেশি সে শহরের বেদনও বেশি। সুতরাং ফিনল্যান্ডে খরচ নিয়ে চিন্তার কোন
কারণ নেই। আপনি যদি একটি শীত প্রধান দেশ পছন্দ করেন তাহলে আপনার
জন্য ফিনল্যান্ড হতে পারে সবচেয়ে ভালো কাজের একটি দেশ। ফিনল্যান্ডের শীতের
তীব্রতা মনকে উৎফুল্ল রাখে এবং দুর্বলতা কাটিয়ে কাজের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে।
হংকংয়ে প্রবাসীদের বেতন সম্পর্কে জানুন
হংকং হলো চীন দেশের ই একটি অংশ কিন্তু সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে দুটি দেশ আলাদা
হয়ে যায়। এরপরে হংকং নিজেদের আইন, শাসন ও নিয়ম-কানুন পরিবর্তন করে। হংকং হলো
একটি আন্তর্জাতিক আর্থিক উন্নয়নশীল দেশ। সুতরাং এই দেশে যে কোন কাজের পারিশ্রমিক
একটি ভালো পরিমাণ অর্জন করা যায়। হংকং এর একজন প্রবাসীর বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৫০
হাজার থেকে ৪ লাখ হংকং ডলার পর্যন্ত হতে পারে। যা
বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ লাখ টাকা। আর এই মোটা কে বাংলাদেশী
টাকায় প্রতি মাস দিয়ে ভাগ করলে ৪ থেকে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকায় গিয়ে
দাঁড়াবে।
হংকং এর জীবনযাত্রার মান অন্যান্য দেশের চেয়ে একটু উন্নত হওয়ায় এই দেশে
বসবাসরত নাগরিকদের বা প্রবাসীদের জীবন যাপন, চলাফেরা ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খাতে
একটু খরচ বেশি। সুতরাং হংকং একটি আন্তর্জাতিক আর্থিক কেন্দ্র হওয়ায় এই দেশে
ব্যাংকিং সেক্টর থেকে বেশি পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। এছাড়াও বিভিন্ন
শিল্প খাতে বা কোম্পানিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা
সম্ভব।
ইতালির প্রবাসীদের বেতন সম্পর্কে জানুন
ইউরোপের মধ্যে একটি অন্যতম জনপ্রিয় দেশ হলো ইতালি। যেখানে আপনি সব ধরনের
কাজের সমান সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকবেন। ইতালি একটি আর্থিক উন্নয়নশীল
দেশের অন্তর্ভুক্ত। ইতালি সরকার প্রতিবছর প্রায় কয়েক হাজার প্রবাসী নিয়ে
থাকেন। ইতালি সরকার বিশেষ করে বাগানের কাজকর্ম, কৃষি ক্ষেত্রে ও
বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কাজকর্মের জন্য বা দেখাশোনা করার জন্য প্রতিনিয়ত
প্রবাসী নিয়োগ করে থাকে। ইতালিতে প্রবাসীদের গড় বার্ষিক আয় প্রায় ৪
হাজার থেকে ৫ হাজার ইউরো পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে এটি দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার উপর
ভিত্তি করে ইতালি সরকার বেতন প্রদান করে থাকে।
আমরা যারা ইতালিতে কাজের ভিসায় যেতে চাই তাদের জন্য একটি বড় সুযোগ হলো
ইতালি সরকার যখন প্রবাসী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, তখন যদি আমরা বাংলাদেশে
নিযুক্ত অথবা ভারতে নিযুক্ত ইতালির দূতাবাসে যোগাযোগ করি এবং আমাদের সঠিক
কাগজপত্র জমা দিয়ে যদি সঠিকভাবে ইতালিতে যাওয়ার জন্য আবেদন করি তাহলে আমরা খুব
কম খরচে ইতালিতে যেতে পারবো।
ডেনমার্ক প্রবাসীদের বেতন সম্পর্কে জানুন
ডেনমার্ক হল পৃথিবীর অন্যতম একটি সুখী দেশ অর্থাৎ ডেনমার্ক সুখী, নিরাপদ ও আর্থিক
উন্নয়নশীল একটি দেশ। পৃথিবীর সুখী দেশদের তালিকায় ডেনমার্ক প্রতিবছর শীর্ষে
থাকে এবং নিজেদের স্থান সবসময় শীর্ষে রাখার জন্য তারা সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ
করে থাকে। আপনি যদি একটি সুখী দেশে গিয়ে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চান তাহলে
ডেনমার্ক হতে পারে আপনার জন্য অন্যতম একটি দেশ। ডেনমার্কের একজন প্রবাসীর
গড় বার্ষিক আয় প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ ডেনিস ক্রোন যা
বাংলাদেশী টাকায় প্রতি মাসে ৬ লাখ থেকে ৭ লাখ পর্যন্ত হতে পারে।
সুতরাং আমরা যারা ডেনমার্ক এ যেতে চাই তাদের প্রত্যেকেরই উচিত তাদের সঠিক
কাগজপত্র ডেনমার্ক দূতাবাসে পৌঁছানো এবং কাজের ভিসার জন্য ডেনমার্ক আবেদন করা।
আশা করা যায় আমরা যদি সঠিকভাবে সকল প্রক্রিয়া শেষ করতে পারি তাহলে খুব সহজেই
আমরা ডেনমার্কের কাজের ভিসা পেয়ে যাব এবং বিশ্বের অন্যতম সুখী একটি
দেশে গিয়ে নিজেদের ভাগ্য বদল করতে পারব।
শেষ কথাঃ ইউরোপের যে সকল দেশের প্রবাসীদের বেতন বেশি
ইউরোপের যে সকল দেশে প্রবাসীদের বেতন বেশি কথাটির একটি পূর্ণাঙ্গ অর্থ হল ইউরোপের
প্রায় প্রতিটি দেশেই প্রবাসীদের বেতন অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক বেশি। আমরা যদি
সঠিক নিয়মকানুন মেনে লিগ্যাল কাগজপত্র প্রদান করে আবেদনের মাধ্যমে ইউরোপের যে
কোন দেশে কাজের ভিসা নিয়ে প্রবেশ করতে পারি তাহলে খুব সহজেই আমরা আমাদের ভাগ্য
পরিবর্তন করতে পারবো। এছাড়াও আমাদের আর্টিকেলে ইউরোপের কোন দেশ প্রবাসীদের কত
টাকা বেতন প্রদান করে থাকে এবং কি কি সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে তা আমরা আমাদের
আর্টিকেলে লিখেছি।
সুতরাং আপনারা যদি আমাদের আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে
অবশ্যই বুঝবেন ইউরোপীয় সরকার প্রবাসীদের কি ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে
থাকে এবং ইউরোপের ভিসা কিভাবে খুব সহজে পাওয়া যায় এ সকল বিষয় নিয়ে আমরা
আমাদের আর্টিকেলে আলোচনা করেছি। আপনার যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে
তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url